নামাজের প্রয়োজনীয় ১২টি সূরা

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। নামাজ ছাড়া ইমান টিকে রাখা অসম্ভব। আর এই নামাজ পালনের জন্য কিছু সূরা সমূহ জানতে হয়। কুরআন মাজিদে কিছু সংক্ষিপ্ত সূরা রয়েছে যা মুখস্ত করা সহজ এবং তা নিয়মিত নামাজে পাঠ করা যায়। তাই মুসলমানদের এইসব প্রয়োজনীয় নামাজের সূরা সমূহ জানা খুবই দরকার।

কোরআন শরীফের সূরার যে সিরিয়াল রয়েছে তা অনুসরণ করা সুন্নাত বা ওয়াজিব নয়। আল্লাহ কুরআনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, কুরআন থেকে যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু তেলাওয়াত কর। "তুমি সেটা তেলাওয়াত কর যেটা তোমাদের জন্য সহজ।"

toc) #title=(Table of Content)

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নামাজের প্রয়োজনীয় ১২টি সূরা সমূহ ও নামাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি, নামাজের প্রয়োজনীয় ১২ টি সূরা কি কি এবং সূরাগুলোর অনুবাদ কি,

১.সূরা ফাতিহা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ 

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ 

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ 

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُu 

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ 

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মা-লিকী ইয়াউমিদ্দিন। ইয়্যাকা-নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাআসতাআয়ঈন ইহদিনাস-সিরাতাল মুসতাকিম। সিরাত্বাল লাযিনা আন-আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম। ওয়ালাদ্দুয়াল্লীন আমিন।

অর্থ:- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু। 

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক।  আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

২.সূরা ফীল আরবি

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِي

أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ 

أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ

وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ

تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ

فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আলাম তারা কাইফা ফাআলা রাব্বুকা বি-আসহাবিল ফিল। আলাম ইয়াজ আল কায়দাহুঁম ফি মাদ্রিদ। ওয়া আরসালা আলাইহিম তাইরান আবাবিল। তারমিহীম বিহিজা রআতইম্মইন সিজ্জিল। ফাযাআলাহুম কাআসফিইম মাকূম।

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়াল।

আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? তিনি তাদের ওপর প্রেরণ করেছেন ঝাকে ঝাকে পাখি। যারা তাদের উপর পাথরের কঙ্কর নিক্ষেপ করেছিল। অতঃপর তিনি তাদের ভক্ষিত তৃনসদৃশ করে দেন।

৩.সূরা কুরাইশ আরবি

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ

إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ

فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ

الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

লী- লাফি কুরাইশিন্। ইলা ফিহিম রাহ লাতাশশিতা ইওয়আসসআইফ। ফালইয়া বুদূ রব্বাহা যাল বাতি, আল্লাযি আত আ'মাহুম মিন যউ'ই। ওয়া আমানাহুম মিন খাউফ।

অর্থ:- শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু।

কুরাইশের আসক্তির কারণে। আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্ম কালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে শুধুমাত্র পালনকর্তার। যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।

৪.সূরা মাউন আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ

فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ

وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ

فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ

الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ

الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ

وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُو

উচ্চারণঃ-বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

আরয়াইত আল্লাযী- ইয়ুকায্যিবু বিদ্দীন। ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু’উল্ ইয়াতীম। অলা-ইয়াহুদ্ব্দু ‘আলা-তোয়া‘আ- মিল মিসকীন। ফাওয়াইলুল্লিল্ মুছোয়াল্লীনা। আল্লাযীনাহুম্ ‘আন্ ছলা-তিহিম্ সা-হূন্। আল্লাযীনা হুম্ ইয়ুরা-য়ূনা। অইয়াম্ না ঊনাল্ মা-‘ঊন।

অর্থঃ-শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

আপনি কি দেখেছেন তাকে,যে বিচার দিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়। এবং মিসকীনকে অন্ন প্রদান করতে উৎসাহিত করে না। অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,। যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে। এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

আরো পড়ুনঃ নামাজ না পড়ার ১৫ টি শাস্তি

৫.সূরা কাউসার আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُإِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

ইন্না আ-ত্বাইনা কাল কাউসার। ফাসাল্লিলি রাব্বিকা ওয়ানহার। ইন্না শা-নিয়া কা হুয়াল আবতার। 

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা এবং নির্বংশ।

৬.সূরা কাফিরুন আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ

لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ

وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ

وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

কুল্ ইয়া য় আইয়ুহাল্ কা-ফিরূনা । লা-য় আ’বুদু মা তা’বুদূনা। অলা  আন্তুম্ ‘আ-বিদূনা মা আ’বুদ্। অলা আনা ‘আ-বিদুম্ মা-‘আবাততুম্। অলা আন্তুম্ আ-বিদূনা মা য় আ’বুদ্। লাকুম দীন-কুম্ অলিয়াদীন্।

অর্থ:- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

বল,হে কাফিররা। তোমরা যার ইবাদাত করো আমি তার ‘ইবাদাত করি না। এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও। আর তোমরা যার ইবাদত করছ আমি তার ইবাদাতকারী হব না’। আর আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী হবে না’। তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন।’

৭.সূরা নাসর আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

ইজাযা আনাস রুল্লাহি ওয়াল ফাতহ্। ওয়ারা আইতান্নাসা ইয়াদ খুলুনা ফি-দ্বীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহ। ইন্নাহু কা-না তাওয়্যাবা।

অর্থ:- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে, এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন। তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী।

৮.সূরা লাহাব আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ

مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ

وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ

فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাবিউ ওয়াতাব্ব। মা আগনা আন হু মালুহু ওয়ামা কাসাব। সাইয়াছ্লা- না-রন্ যা-তা লাহাবিঁও। ওয়ামরা আ তুহু হাম্মা লাতাল হাতাব। ফি যিদিহা হাবলু-ম্মিম মাসাদ। 

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে’। এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে। তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। 

৯.সূরা ইখলাস আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

اللَّهُ الصَّمَدُ

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণঃ-বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

কুল হুওয়াল্লা হু আহাদ। আল্লা-হুচ্ছমাদ। লাম ইয়ালিদ অলাম ইয়ূলাদ। অলাম ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থঃ-শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

বলো, তিনিই আল্লাহ,এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন,সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

১০.সূরা ফালাক আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

مِن شَرِّ مَا خَلَقَ

وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ

وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ

وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

ক্বুল আউযু বি-রাব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা- খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-ছিক্কিন ইযা- ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ উক্বাদ্। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা- হাসাদ। 

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

বলুন,আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন,তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে,যখন তা সমাগত হয়,। আর গিরায় ফুতকার দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। 

১১.সূরা নাস আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

مَلِكِ النَّاسِ

إِلَهِ النَّاسِ

مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ

الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ

مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।

কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্। মালিকিন্না-স্ । ইলা-হি ন্না-স্। মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি । আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্। মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্।

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।

বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির,মানুষের মা’বুদের। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। 

১২.সূরা আসর আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

وَالْعَصْرِ

إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ

إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ওয়াল আসর। ইন্নাল ইন-ছানা লাফী খুছর। ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া তাওয়া-সাওবিল হাক্কি ওয়া তাওয়া-সাও বিসসাবরি।

অর্থঃ-শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু।

কসম যুগের (সময়ের),রং। নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।

১৩.সূরা হুমাযাহ আরবিঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ 

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ

الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ

يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ

كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ

نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ

الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ

إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ

فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ওয়াইলুলিলকুল্লি হুমাঝাতিল লুমাঝাহ । আল্লাযী জামা‘আ মা-লাওঁ‘ওয়া ‘আদ্দাদাহ। ইয়াহছাবুআন্না মা-লাহূআখলাদাহ। কাল্লা-লাইউমবাযান্না ফিল হুতামাহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। না-রুল্লা-হিল মূকাদাহআল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ। ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ 

অর্থঃ- শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু

প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে,সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে! কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি, যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে। এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে, লম্বা লম্বা খুঁটিতে।

আরো পড়ুনঃ নামাজের প্রয়োজনীয়তা ও নামাজ পড়ার নিয়ম

শেষকথা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় ১২ টি সূরা দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকেই আছি যারা দীর্ঘদিন নামাজে বিরতি দেওয়ায় নামাজের অনেক সুরা ভুলে গেছি বা বা কোন কারনে নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা গুলো মনে পড়ছে না,বার বার ভুল হচ্ছে। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি খুবই উপকারীয়।

"নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় সূরা" সমূহ আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। আর প্রয়োজনীয় সব আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 

পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। আল্লাহর অশেষ রহমত ও বরকতময় জীবন গড়ে তুলুন। আল্লাহ হাফেজ। 

নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

১. নামাজের সময় কোন সূরা পড়তে হয়? 

উত্তর: নামাজের সময় সূরা ফাতিহার পর আপনি যেকোন একটি সূরা পড়তে পারবেন। তবে ন্যূনতম প্রতি রাখাতেই সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক।

২.নামাজের প্রথম দোয়া কি? 

উত্তর:নামাজে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম এই দোয়া পড়তে হয়। উচ্চারণ-ইন্নি ওয়াজ্জাহা তু  ওয়াজ্ হিয়া লিল্লাজি,ফাতরাত সামা- ওয়া- তি ওয়াল আরদঅ হানি ফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকী-ন।অর্থ -নিশ্চয়ই আমি তারই দিকে মুখ করলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং বাস্তবিকই আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।

৩.নামাজ পড়ার নিয়ম কি? 

উত্তর :১.নামাজের নিয়মে মাযহাব,  ইমাম বা আলেমের যাচাইবিহীন অনুসরণ (তাকলীদ) না করে সহিহ হাদিস অনুসরণ করাই উত্তম। 

  • নামাজে নাভির উপরে /বুকের উপর হাত বাধা।
  • আমিন বলতে হয় সশব্দে
  • নামাজের নিয়তে নির্দিষ্ট কোন দোয়া না পড়া 
  • রুকুর আগে ও পরে এবং সিজদার আগে তাকবীরে হাত তোলা 
  • সিজদায় যাওয়ার সময় পায়ের আগে হাত রাখা 

৪. আসরের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়? 

উত্তর :- চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ নিয়ে আসরের নামাজ গঠিত। ফরজ চার রাকাতের অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত করে পড়তে পারেন। 

৫. ফজরের নামাজের পর কি সূরা পড়তে হয়? 

উত্তর :- ফজরের নামাজের পর সুরা ইয়াসিন পড়তে হয় এবং বাকি চার ওয়াক্ত নামাজ যেমন, জোহরের নামাজের পর সূরা ফাতাহ, আসরের নামাজের পর সূরা নাবা, মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া এবং এশার নামাজের পর সূরা মুলক পড়তে হয়। 

৬. সর্বনিম্ন কত আয়াত দিয়ে নামাজ পড়া যায়? 

উত্তর :- নামাজের যে পরিমাণ আয়াত যথেষ্ট, তার সর্বনিম্ন পরিমাণ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে এক আয়াত। আর ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (রা:) এর মতে, ছোট তিন আয়াত অথবা দীর্ঘই এক আয়াত দিয়ে নামাজ পড়া যায়। 

 

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!