কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে?

যুগ যুগ থেকে বা বর্তমান যুগে আমরা যে প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান ব্যবহার করছি তা কিন্তু একদিনে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষকদের অনেক পরিশ্রমের পর আজকের এই প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কার হয়েছে। এসব প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান যারা বা যে আবিষ্কার করেছিলেন আমাদের উচিত তাদের সম্পর্কে জানা। কম্পিউটার সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তাই কম্পিউটারের জনক হিসেবে বিজ্ঞানের চার্লস ব্যাবেজ কে ধরা হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? এবং কম্পিউটার সংক্রান্ত নানান তথ্য। 

কম্পিউটার কবে আবিষ্কার হয়, কম্পিউটারে ব্রেইন বলা হয় কাকে কম্পিউটারের এই সকল তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন প্রথমেই জেনে আসি, কম্পিউটার কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল। 

toc) #title=(Table of Content)

কম্পিউটার কে, কবে আবিষ্কার করেন? 

1822 সালে কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ কিছু জটিল গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করার জন্য একটি ডিভাইস তৈরি করেছিলেন, যার নামকরণ করা হয়েছিল ডিফারেন্স ইঞ্জিন। অনেক গবেষণার পর তিনি তার প্রকৌশলীদের নিয়ে প্রথমে একটি বিশ্লেষণাত্মক ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। যা সবচেয়ে কঠিন গাণিতিক অপারেশনগুলিও সমাধান করতে পারে। 

এই যন্ত্রটি মূল কম্পিউটারের আবিষ্কার থেকে অনেক দূরে ছিল। পরে অনেক চেষ্টার পর তিনি সিপিইউ এর মত প্রসেসর তৈরি করেন। এইভাবে ক্রমাগত কম্পিউটারের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। কম্পিউটারের মেকানিক্যাল সাইটে কাজ করে কম্পিউটারের বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। স্বীকৃতভাবে বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটারের আবিষ্কারক। এবার আসুন জেনে নেই, কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? কম্পিউটারের প্রকারভেদ সহ অন্যান্য সব তথ্য।

আরো পড়ুনঃ আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে? তিনি কোন দেশের নাগরিক?

কম্পিউটারের প্রকারভেদ 

কম্পিউটারে প্রকারভেদ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। গঠন ও কাজের প্রকৃতির দিক থেকে কম্পিউটারের প্রকারভেদ তিনটি। অতএব, গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার মূলত তিন প্রকার। 

  • অ্যানালগ কম্পিউটার (Analoge computer) 
  • ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer) 
  • হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer) 

অ্যানালগ কম্পিউটার (Analoge computer): 

কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার প্রথম দিকেই তৈরি হয়েছিল অ্যানালগ কম্পিউটার। বৈদ্যুতিক সংকেতের দ্বারা ইনপুট নিয়ে থাকে এই অ্যানালগ কম্পিউটার থেকে। রোদ, চাপ,তাপ, উত্তাপের জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে। এবং উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল আউটপুট সাধারণ প্রদর্শনের কাটাঁ দিয়ে দেখানো হয়। 

ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer): 

তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিসাবের জন্য এ ধরনের কম্পিউটার বর্ণ বা গাণিতিক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ (Input)  করে তাকে এবং নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ (Output) করে। ডিজিটাল সংকেতের ধনাত্মক তরঙ্গ উচ্চতাকে ১ এবং ঋণাত্মক তরঙ্গ উচ্চতাকে ০ হিসেবে ধরা হয় আন্তর্জাতিক নিয়মে। ডিজিটাল কম্পিউটারের এই পদ্ধতিকে মূলত বাইনারি সিস্টেম বলা হয়। 

হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer): 

অ্যানালগ এবং ডিজিটাল এই দুই ধরনের কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer) বলা হয়। বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer)। তবে মূল্য, আকৃতি, সংরক্ষণ ক্ষমতা, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কার্যসম্পাদন ব্যবহারের সুবিধা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে আরও বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল ঘড়ি (Waterproof Mobile gori)

কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? 

মাইক্রোপ্রসেসরকে (Microprocessor) কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়। এই মাইক্রোপ্রসেসর এর সংকেত হচ্ছে up। এবং CPU (Central Processing unit) কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট সেন্ট্রাল প্রসেসর, মেইন প্রসেসর বা প্রসেসর নামেও পরিচিত। এই প্রোগ্রাম যুক্ত ডিজিটাল যন্ত্রাংশ যা কম্পিউটার সহ নানা ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, মূলত তাই হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর। 

একটি প্রসেসর মেমরি, কোর এবং প্রোগ্রাম ইনপুট আউটপুট যন্ত্রাংশ ধারনকারী ছোট কম্পিউটার, এছাড়াও ফ্লাশ বা OTP রম আকারে প্রোগ্রামের মেমোরি হয়ে প্রায়ই চিপ। RAM (Random Access Memory) উপস্থিত সাধারণ অল্প পরিমাণ সহ মাইক্রোকন্ট্রোলার্স এমবেডেড অ্যাপ্লিকেশন এর জন্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা অন্যান্য সাধারণ উদ্দেশ্যে এপ্লিকেশন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? এবং কম্পিউটার সম্পর্কিত নানা তথ্য উপরে উল্লেখিত রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ হঠাৎ ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যা করবেন

শেষকথা 

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কর্মস্থলের প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার রয়েছে। এবং যে কারো বা সবারই কম্পিউটারের বেসিক ধারণা থাকা জরুরী। আশা করছি আমাদের আজকের এই কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে? আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। 

এরকম গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ের উপর তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। কম্পিউটার অথবা আমাদের পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমরা সর্বক্ষণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। কম্পিউটার সম্পর্কিত পুরো পোস্টটি এতক্ষন মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল ঘড়ির দাম কত টাকা-মোবাইল ঘড়ির দাম কত

কম্পিউটার সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ

প্রশ্ন: পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার এর নাম কি?

উত্তর:- ENIAC (এনিয়াক) হচ্ছে, (Electronic Numerical Integrator And Computer) ইলেকট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর এন্ড কম্পিউটার, এটিই প্রথম প্রোগ্রাম চালানোর মতো ডিজিটাল কম্পিউটার। এর থেকেই কম্পিউটার প্রজন্ম শুরু হয়। 

প্রশ্ন: আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে? 

উত্তর:- আধুনিক কম্পিউটারের জনক অ্যালান টুরিং। অ্যালান টুরিংকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। 

প্রশ্ন: মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার কি? 

উত্তর:- মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বৈপ্লবিক আবিষ্কার ছিল চাকা আবিষ্কার। মানুষের জীবনে এটি প্রতিদিনের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হতো। 

প্রশ্ন: কম্পিউটার এর বাংলা নাম কি? 

উত্তর:- কম্পিউটার (Computer) এর বাংলা নাম হিসাব গণনাকারী যন্ত্র, গণনাযন্ত্র বা সংগনক। কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজগুলো খুব দ্রুত করতে পারে। 

প্রশ্ন: WWW এর পূর্ণরূপ কি? 

উত্তর:- WWW এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, (World Wide Web) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!