অনেক সময় বাচ্চারা রাতে অথবা দিনে খুব বেশি কান্না করে। রাতের বেলা কান্না করার বিষয়ের বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে তোমাদের কোলের শিশু বাচ্চাকে, যারা বুকের দুধ পান করে তাদেরকে ঘরের ভিতর নিয়ে যাও এবং দরজা-জানলা বন্ধ করে দাও। সন্ধ্যার ওই সময় খারাপ জ্বিনেরা পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে তখন ছোট শিশুরা বাইরে থাকলে তাদের উপর খারাপ নজর দিবে। এই বদ নজরের কারণে শিশুরা সারারাত কান্না করে ঘুমাতে পারেনা।
বিশেষত্ব এই কারণেই মাগরিবের সময় বাচ্চাদের ঘরের ভিতরে থাকা প্রয়োজন। আবার মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ পর বাইরে বের হওয়া যাবে। আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় বা রাতে বাচ্চারা কান্না করলে কান্না থামানোর জন্য করণীয় কি? এ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শিশুর কান্না বন্ধ করার তদবির বা রাতে বাচ্চা কান্না করলে কিভাবে বন্ধ করবেন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পড়তে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন। তো চলুন প্রথমেই জেনে আসি শিশুর কান্না বন্ধ করার তদবীর কি?
toc) #title=(Table of Content)
রাতে বাচ্চারা কান্না করে কেন
সাধারণত শিশুরা বিভিন্ন কারণে রাতে কান্নাকাটি করতে পারে। রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় এই সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের পোস্টে দেওয়া আছে। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাচ্চারা রাতে কেন কান্না করে তার কিছু সাধারণ ব্যাখ্যা হচ্ছে,
অস্বস্তি লাগা
শিশুদের ভেজা বা নোংরা ডায়াপারের কারনে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অথবা অন্যান্য কিছু কারণ যেমন খুব বেশি গরম লাগলে অথবা খুব বেশি ঠান্ডা লাগলে, পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে, কোলিক বা দাঁতে ব্যাথার মতো শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করে। সাধারণত এ কারণগুলির জন্যই অস্বস্তি লাগার ফলে শিশুরা রাতে কান্নাকাটি করে।
খিদে লাগা
ছোট্ট শিশুদের ক্ষেত্রে অল্প খাবার একটু পর পর প্রয়োজন পড়ে। খাবারের কিছুক্ষণ পরই ঘুমিয়ে পড়লে কিছু সময় যাওয়ার পরই ঘুমের মধ্যেই কেঁদে উঠতে পারে খিদে লাগার কারনে। খাবারের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেওয়ার জন্যই ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমের মধ্যে শিশুরা কেঁদে উঠে।
ঘুমের প্রয়োজন
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ঘুমের চক্র কম থাকে। ঘুমের চক্রের মধ্যে পরিবর্তনের সময় তারা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে জেগে উঠতে পারে। ক্লান্ত থাকলে অথবা ঘুমের মধ্যে কোন সমস্যা হলে ঘুমের মধ্যে কেঁদে উঠে।
আরামের প্রয়োজন
শিশুরা আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য এবং আশ্বাসের জন্য তাদের যত্নশীলদের উপর নির্ভর করে। একা ফেলে রাখা অথবা দীর্ঘ সময় ঘুম পাড়িয়ে রাখা, উদ্বিগ্ন এ কারণগুলোতে শিশুরা বিরক্ত হয়ে পড়ে। বিরক্ত হয়ে কান্না করা শুরু করে।
আরো পড়ুনঃ উত্তম সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
শিশুর কান্না বন্ধ করার তদবীর
শিশুরা বিভিন্ন কারণে কাঁদতে পারে। স্বপ্ন দেখে, পেটের ব্যথায়, অস্বস্তি লাগলে অথবা বদ নজরের কারণে ও কান্না করতে পারে। শিশুর কান্না বন্ধের দোয়া। এবং শিশুদের বদ নজরের ফলেও এই তদবীরটি করতে পারেন। রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় নিম্নে দেওয়া হলো,
উচ্চারণ: শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা হুয়া ওয়াল মালায়িকাতু ওয়া উলুল ইলমি ক্বায়িমাম বিলক্বিসতি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল আযীযুল হাকীম।
অর্থ: আল্লাহর সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ভিন্ন অন্য উপাস্য নাই এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাহার সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।
ফজিলতের বর্ণনা: আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে স্বয়ং তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাওহীদের শক্তি বর্ণনা করা অসম্ভব তৌহিদের বাণীর তেজে কান্না থামিয়ে যায়।
ছোট্ট শিশুরা বদ নজরের দোষে কাঁদতে থাকলে এই আয়াতটি ৭ বার পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ে একটি সুতায় গিরা দিবেন। এরূপ সাতটি গিরা দিয়ে সুতাটি শিশুর গলায় দিয়ে দিবেন। এতে করে শিশুর কান্না থেমে যাবে এবং বদনজর দূর হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া
বাচ্চারা অতিরিক্ত কান্না করলে কোন দোয়া পড়লে কান্না থেমে যায়
কোলের শিশুরা পেটের ক্ষুধা ও অসুখ অথবা স্বাভাবিক কান্নার বিপরীতে অন্য কোন কারণে অতিরিক্ত কান্না করলে এই দোয়াটি পড়ে ফু দিবেন।
উচ্চারণ: শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া ওয়াল মালা ইকাতু ওয়া উলুল ইলমি কা ইমাম বিল কিসত্ব। লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল আযীযুল হাকীম। ইন্নাদ্দীনা ইন্নাল্লাহিল ইসলাম।
এই দোয়াটি ৭বার পড়ে শিশু বাচ্চাকে ৭টা ফু দিবেন। ইনশাআল্লাহ বাচ্চার কান্না থেমে যাবে। অথবা লাল, নীল সুতা একত্রে করে এই আয়াতটি ৭বার পড়ে পড়ে ৭টি গিরা দিয়ে তা শিশু বাচ্চার গলায় তাবিজাকারে বেঁধে দিবেন। ইনশাআল্লাহ আপনার শিশু বাচ্চার কান্না থেমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ যে দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হবে
বাচ্চা কান্না করলে কি করব
কোলের শিশুরা বা বাচ্চারা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কান্না করে। অনেক সময় অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ সময় ও কান্না করে। বিভিন্ন কারণে বাচ্চারা কান্না করতে পারে, সেরকমই কিছু কারণ। যেমন,
- পেটে কৃমি হলে অস্বস্তি বোধ করার কারণে কান্না করে।
- খাবার খাওয়ানোর পরে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে দিলে সামান্য পেটে ব্যাথা হতে পারে পেটে ব্যাথা হলে কান্না করবে।
- পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে কান্না করে।
- খাবারের সাথে মুখ দিয়ে পেটে বাতাস গেলে অনেক সময় শিশুরা কান্না করে।
- অসময়ে বাইরে থাকলে খারাপ নজরের কারণে ও বাচ্চার অস্বাভাবিক ভাবে কান্না করে।
বাচ্চা দীর্ঘ সময় ধরে কান্না করে অনেক কিছু করেও কান্না থামানো যায় না। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। বাচ্চারা কান্না করাটা স্বাভাবিক কিন্তু দীর্ঘ সময় অস্বাভাবিকভাবে কান্না করা এটা স্বাভাবিক নয়। তাই অবশ্যই কোন কারনে বাচ্চা কান্না করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
আরো পড়ুনঃ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার ৫টি উপায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার ৫টি উপায়
বাচ্চাদের শরীর বন্ধের দোয়া
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন শয়তান আমাদের সব থেকে বড় দুশমন। তাছাড়া শয়তান সবসময় বাচ্চাদের সাথে খারাপ আচরণ করে বাচ্চাদের ভয় দেখায়। বাচ্চাদের শরীর বন্ধ থাকলে শয়তান বাচ্চাদের সাথে খারাপ কিছু করতে পারবে না বা ভয় দেখাতে পারবেনা। সে জন্য বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করে রাখবেন।
বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করার দোয়া
- বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতেহা পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন।
- বিসমিল্লাহ সহকারে তিন কুল পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন।
- শুদ্ধভাবে বিসমিল্লাহর সাথে আয়াতুল কুরসি পাঠ করে বাচ্চা শরীরে ফু দিবেন।
এগুলো পড়ে বাচ্চা শরীরে ফু দিলে বাচ্চা শরীর বন্ধ হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ শয়তান আর খারাপ কিছু করতে পারবে না বাচ্চার সাথে। সব সময় ছোট বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখবেন এবং অবশ্যই ছোট বাচ্চাকে একা এক রুমে ঘুম পাড়িয়ে দূরে কোথাও যাবেন না।
শরীর বন্ধ করার দোয়া বা সূরার সাথে আরো ছোট ছোট কিছু দোয়া পাঠ করে ফু দিবেন।
উচ্চারন: আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শায়তানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
সকাল সন্ধ্যা তিনবার এই দোয়াটি পড়ে বাচ্চাকে দম করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার বাচ্চা আর অহেতুক কান্না করবে না।
আরো পড়ুনঃ নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব
বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করে দিলে কি হয়
- বাচ্চাদের শরীর শয়তানের শয়তানি থেকে হেফাজতে থাকবে।
- জ্বীনের আক্রমণ থেকে বাচ্চারা রক্ষা পাবে।
- জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা পাবে।
- কোন ধরনের যাদুটোনা, তাবিজ বাচ্চাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
- বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করে দিলে এরকম নানান বিপদ থেকে আল্লাহ তা’য়ালা বাচ্চাদের সব সময় হেফাজত করে রাখবেন।
আরো পড়ুনঃ ইসলামে যেভাবে ঘুমানো নিষেধ এবং যেভাবে ঘুমানো উত্তম
শিশুরা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে কেঁদে উঠলে তা বন্ধ করার তাবিজ
শিশুরা অনেক সময় ঘুমের মধ্যে নানান ধরনের স্বপ্ন দেখে কেঁদে উঠে। ক্রমাগত এই স্বপ্ন দেখে কেঁদে উঠা অভ্যাসে পরিণত হয়। এমন অবস্থায় নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ লিখে তাবিজাকারে শিশুর গলায় ঝুলিয়ে দিলে আল্লাহর রহমতে শিশুর এই স্বপ্ন দেখে কেঁদে ওঠা অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।
- একটি কাগজে সূরা ফালাক ও সূরা নাস লিখে তাবিজ আকারে গলায় দিয়ে দিবেন।
- অথবা সূরা ফালাক ৩বার পড়ে বাচ্চা শরীরে ফু দিবেন।
বাচ্চার কান্না বন্ধ করার উপায়, আমল বা দোয়া
আপনার বাচ্চা যদি দিনে অথবা রাতে অতিরিক্ত কান্না করে তাহলে এই উপায় বা আমলটি আপনার শিশু বাচ্চার জন্য অবলম্বন করতে পারেন। আল্লাহর গুণবাচক নাম,
ইয়া হাসিবু
ইয়া হাসিবু এই নামটি অজু করে ১১ বার পাঠ করে আপনার শিশু বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন। ইনশাআল্লাহ আপনার শিশু বাচ্চার কান্না সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে। দিনে অথবা রাতে আর এ রকমভাবে কান্না করবে না। যদিও দিনে অথবা রাতে অতিরিক্ত কান্না করে তাহলে এই আমলটি ১১ বার পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করবেন
শেষকথা
প্রতিটি শিশুই অনন্য সুন্দর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তাদের কান্নার ধরন পরিবর্তিত হতে পারে। ধৈর্য, যত্ন এবং মনোযোগ সহকারে শিশুর দিকে খেয়াল রাখবেন। শিশুরা সুস্থ, স্বাভাবিক থাকলে শিশুর মা-বাবা অভিভাবকরাও স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলেন। একটি সুস্থ শিশুই, মা বাবার আনন্দের কারণ।
আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়, রাতে বাচ্চা কেন কান্না করে, বাচ্চাদের কান্না বন্ধ করার আমল বা দোয়া, বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করে দিলে কি হয়, বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করার দোয়া, শিশুর কান্না বন্ধ করার তদবীর সহ বাচ্চাদের কান্না নিয়ে বিভিন্ন তথ্য। রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় এই পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজে সুস্থ, সচেতন থাকুন এবং আপনার বাচ্চাও যেন সুস্থ, স্বাভাবিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ নামাজের প্রয়োজনীয় ১২টি সূরা
রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় এই সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
প্রশ্ন: বাচ্চারা কাঁদলে কি করা উচিত?
উত্তর:- বাচ্চারা কাঁদলে যা করা উচিত,
- বাচ্চা ক্ষুধার্ত হলে খাওয়ানো উচিত তবে অতিরিক্ত খাবার নয়।
- ডায়াপার গুলি শুকনা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- খাবার হজমের কোন সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- শিশুকে কোলে নিয়ে কিছু কথাবার্তা বা গল্প করুন।
প্রশ্ন: নবজাতকের প্রথম কান্নার কারণ কি?
উত্তর:- নবজাতকের প্রথম কান্নার কারণ হচ্ছে,
- মায়ের মনোযোগ
- ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ
- শারীরিক অসুবিধা
- খিদে লাগা
- গ্যাস এর কারনে পেটে ব্যাথা
প্রশ্ন: শিশু ঘুমের মধ্যে কান্না করে কেন?
উত্তর:- ৩ মাসের কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই সমস্যাটি বেশি ঘটে। হৃদপিণ্ড থেকে পরিপাকতন্ত্র সবকিছুতেই শরীরের ঘুমের ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হয়। ৩ মাস পর শিশুর শরীর স্বাভাবিক ঘুমের চক্রের সঙ্গে খাপ খেতে শুরু করে।
প্রশ্ন: ৩ মাসের বাচ্চা কেন কাঁদে?
উত্তর:- ছোট শিশুরা সাধারণত যেকোনো কারণেই কাঁদতে পারে। একাকীত্ব, একঘেয়েমি, কোলিক, নোংরা অথবা ভেজা ডায়াপার থেকে অস্বস্তি করা, অত্যাধিক গ্যাস, ঠান্ডা লাগা অথবা খিদে লাগা।